ঠাকুরগাঁওশহর থেকে প্রায় এগার কিলোমিটার উত্তরে টাঙ্গন ব্যারেজ থেকেদু'কিলোমিটারপূর্বে কোরমখান গড়। সম্ভবত সুলতানি আমলে গড়টি নির্মিত হয়েছিল।আবার অনেকেমনে করেন সম্রাট শাহজাহানের আমলে এটি নির্মিত। সম্রাটের প্রথমনাম খুররমথেকে কোরম শব্দটি এসেছে। মেজর শেরউইলের মানচিত্রে এ গড়কে বলাহয়েছে'কোরমখান গড়'। ফ্রান্সিস বুকানন এর নাম উল্লেখ করেছেন 'মোঘলিকোট' হিসেবে।কোরমখান গড় থেকে প্রায় দু'কিলোমিটার উত্তরে কোয়েলি রাজার দুর্গ।বর্তমানে এ দুর্গটি পঞ্চগড় জেলার অন্তর্ভুক্ত। এর সঠিকইতিহাস জানা যায় না।তবে অনুমান করা হয় কামরূপের কোনো নৃপতি কোরমখান গড়েসামরিক অভিযান চালানোরউদ্দেশ্যে কোয়েলি দুর্গ নির্মাণ করেন। মোঘলসাম্রাজ্য ও কুচবিহার সীমান্তসংলগ্ন সামরিক দিক থেকে অত্যন্ত সুরক্ষিতকোরমখান গড়টি বর্গাকৃতির এবংদৈর্ঘ্যে প্রস্থে প্রায় এক কিলোমিটারেরকাছাকাছি। দুর্গটির বাইরে চারদিকচল্লিশ ফুট প্রশস্ত ও গভীর পরিখা এবং বিশফুট উঁচু মাটির প্রাচীর দ্বারাবেষ্টিত। আবার উত্তর ও দক্ষিণে বাইরেরপ্রাচীর থেকে ভিতরে প্রায় তিনশ ফুটদূরে আরো দু'টি করে পরিখা ও প্রাচীররয়েছে। পশ্চিম প্রাচীর সংলগ্ন একটিবিরাট দিঘি আছে। দিঘির পূর্ব প্রান্তেভূমিতে প্রাচীন ইমারতের প্রচুর ইটেরটুকরা পাওয়া যায়। দক্ষিণের ভিতরেরপ্রাচীরে একটি প্রাচীন কূপ আবিষ্কৃত হয়।জানা যায় কূপটি মাটি ঢাকা ছিল এবংমাটির প্রাচীর কাটার সময় এটি স্থানীয়লোকজনেরা দেখতে পায়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস